গল্পটা রুটির দামে বেচে দিতে পারেন ।। স্বরলিপি
মামলাটি নিন স্যার
ব্যস্ত আছেন জানার পরেও অপেক্ষা করছে
মাথাপিছু শস্যদানা দাঁত। কেটে খাবে না কথা দিতে রাজি!
ভেতরে আসতে বলি?
ভূগোলের রশি ঝুলছে
চিন্তার শিশুরা কালো গর্তে খুঁজতে গিয়েছে সবুজ পাথর।
ঘড়িতে এগারোটা বেজে আটচল্লিশ মিনিট
এ বরাবর কাটা ফুটলে
কোন কোন স্মৃতি মনে পড়ে?
আজ শরৎ
সমস্ত নীলে সরীসৃপের উপস্থিতি
অভিমানগুলো বেঁচে আছে যাদের কেবলমাত্র তারা জীবিত!
সুখের দিনের বন্ধু
অর্ধেক প্লেট শূন্য দেখে বাকীটা ভরে দিলেন কলমি ফুলে
ডাল-ভাত ভরা থালায় লেবু পাতা কচলে দিলেন
মাছ, শাক,ভাত খাওয়ার সময় অজুহাত দেখিয়ে চলে গেলেন।
তিনি আসলে ধনিয়া পাতার ঘ্রাণে মইমই করে চোখের সবুজ।
আবার কবে আসবেন
অপেক্ষার শূন্যতায়।
জমজ ভাগ্য
দুজন ভাগ্য একটু আগে পড়ে জন্মেছে
এক গর্ভে কাটানো দিনের কতটুকু মনে আছে তাদের কে জানে!
একজন বৃক্ষ আরেকজন পরজীবী হয়ে বাঁচে
কে কার উষ্ণ আঁচে
মেলে দেয় গল্পের উঠান
বদল করে জীবন
জানি না।
দেখতে কন্যা-কন্যা লাগে।
গল্পটা রুটির দামে বেচে দিতে পারেন
গল্পটি দেখতে গোলাকার এবং বুকে পিঠে ধুলো উড়ছে
তার জন্মদিন-
দাম বেড়ে গিয়েছে ফুলের
মাস দ্বিতীয় সপ্তাহেও পৌঁছায়নি
মুদ্রাষ্ফিতির ফেনায় ঢেকে গেছে মুখ
মুখ নিয়ে সামনে দাঁড়াতে পারি না
কফি সাবান ঘঁষে ঘঁষে উদ্ধার করছি মুখের আইল
বিঁধে যাচ্ছে পতিত জমির বুক
লঙ্গলের ফলায়।
বৃষ্টির জন্য দাঁড়িয়ে আছি
মেঘ কি ছেড়ে গেছে স্টেশন?
বাইসাইকেলের সিটি
অ্যাম্বুলেন্স ভেবে ভুল করবেন না
আপনিওতো মুমূর্ষ হৃদয়ের বাতাবিলেবু
মস্তিষ্কের বাটনে নিয়ন্ত্রণ রেখে পাড় হোন
সামনে জনবহুল চুড়ির দোকান।
পাখি
খেতে দিলো
বসতে দিলো
উড়তে দিলো
কাক না হয়ে উপায় কী!